আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসি গঠিত হবে। তিনি বলেন, আমি এমন কথা বলছি না যে, ইসি গঠন করার জন্য যে আইনের কথা সংবিধানে বলা আছে তা করবো না। কিন্তু এই করোনা মহামারি পরিস্থিতি এবং ইসির মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয়ে যাবে, সব কিছু মিলিয়ে এখন আইন করে ইসি গঠন করা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) ক্যাম্পাসে ‘স্মরণে শেখ মুজিব: সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করে বলেছেন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন করা হবে। যখন সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তখন রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলের অভিমত নিয়েছিলেন। সবাই রাজি হওয়ার পরই সার্চ কমিটির গেজেট হয়। যদিও সার্চ কমিটির গেজেট আইন নয়, কিন্তু এটা যেহেতু সবার কনসেন্স নিয়ে করা হয় ও রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে হয়েছিল, তাই সেটা আইনের কাছাকাছি। আমি এখনও বলছি এটা আইন নয়, আইনের কাছাকাছি।
এর আগে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন। তিনি বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু সবই বলেছেন কিন্তু আইনের মধ্যে থেকে। জনগণের মেন্ডেট যখন পেয়েছিলেন তখনই কেবল তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আমাদের এমন একটা সময় এসেছিল যখন, সরকারি অর্থায়নে বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা চলছিল। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ‘কারাগারের রোজনামচা’ উপহার দিয়েছেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশ হয়েছে বলে আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এত জানার সুযোগ পাচ্ছি।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, ইউল্যাবের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এমপি, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা, ইউল্যাব ট্রাস্টি বোর্ডের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ইমরান রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।