বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছাড়া কেউ দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে না। তিনিই আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিতে পারেন। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেজন্য আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি করছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে রোববার (২৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দল এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু বিএনপির জন্য দরকার নয়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য তাকে দরকার। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই দাবি জানাচ্ছি। আমরা বারবার বলছি তাকে বিদেশে পাঠান চিকিৎসার জন্যে।
তিনি আরও বলেন, শুধু স্বেচ্ছাসেবক দল নয়, যুবদল নয়, ছাত্রদল নয়, অঙ্গ সংগঠন নয়, বিএনপি নয়, সমগ্র বাংলাদেশ মানুষ আজ কারাগারে বাস করছে। দেশে শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, মানুষ হাসিমুখে কথা বলে না। নিরাপদে রাস্তায় বের হতে পারে না। তাদের জীবন-জীবিকা চালাতে পারে না। ভয়াল একটি অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ বাস করছে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ। প্রতিদিন চিকিৎসকরা তার জীবন রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? তার একটি কারণ। তিনি একমাত্র নেত্রী যিনি জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। মানুষের জন্য কথা বলেছেন। তিনি যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন তখন নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঁদির ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষকদল সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।