খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো এই সরকারের জন্যই দরকার মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।
তিনি বলেন, আল্লাহ না করুক তার যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে এই দেশের জনগণ আপনাদের রেহাই দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ১৮ কোটি মানুষের অত্যন্ত প্রিয় নেতা। তিনি স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী। এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য বর্তমানে যেসব নেতা-নেত্রী আছেন, তাদের সবার চেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ওবায়দুল কাদের সাহেব বললেন, শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং বলে দিলেন নির্বাচন কমিশনের একটা আইন হবে কিন্তু আগামী নির্বাচন সে আইনের অধীনে হবে না। কারণ আবারও ভোটের আগের রাতে সমস্ত বিরোধীদলকে পিটিয়ে বের করে দিয়ে মাঠ দখল করে নিয়ে নির্বাচনের ফলাফল দখল করে নেবে। তার ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, আবারও ২০১৮ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে রাজনীতির সমস্ত স্তম্ভগুলি ধ্বংস করেছে। আজকে ছেলেরা আন্দোলন করছে। কারণ তাদের সহপাঠীদের ট্রাফিক নৈরাজ্যের কারণে বাসচাপা পড়ে মরতে হচ্ছে। আর বাস ভাড়া কমানোর জন্য আন্দোলন করছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন হাফ ভাড়া দিয়ে চলতাম। শুধু বাসে চড়তাম না বাসে, ট্রেনে লঞ্চে এবং ঢাকা থেকে করাচি গেলে হাফ ভাড়া দিতাম। তারপর স্বাধীন বাংলাদেশেও বহুদিন ছাত্র-ছাত্রীরা হাফ কনসেশন পেয়েছে। আর এখন ওনারা বলছেন হাফ পাস দেওয়া যাবে না। সরকারি বাসে দিলেও প্রাইভেট বাসে নাকি দেওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন আরেকবার রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবো এবং ফ্যাসিবাদী সরকারকে বাধ্য করবো পদত্যাগ করে সত্যিকার অর্থে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।