বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে চলমান আন্দোলনকে দমানো যাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জে যে গুলিবর্ষণ হয়েছে এর মূল কারণটাই ছিল হবিগঞ্জ যেহেতু বিএনপির একটা শক্তিশালী জায়গা এবং ওইখানের নেতারা বরাবরই প্রমাণ করেছেন—এখানে শক্তিশালী একটা সংগঠন আছে, সেজন্য ওই জায়গাতে তারা আঘাত করেছে, পুলিশ অতর্কিতে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করেছে নির্বিচারে।
হবিগঞ্জে দলের পূর্বঘোষিত গতকালের সমাবেশে পুলিশি হামলার ঘটনা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে একটা কথা বলতে চাই—এভাবে দমন-পীড়ন করে, হত্যা করে, গুম করে কখনওই জনগণের ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দাবি এবং সবচেয়ে বড় যে দাবি নিয়ে এখন আমরা আন্দোলন করছি—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য যে আন্দোলন করছি সেই আন্দোলনকে কখনওই দমন করা যাবে না।”
হবিগঞ্জে বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্য জেলার পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, ওসি মাসুক আলী এবং নাজমুল হাসানকে দায়ী করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি অবিলম্বে তাদের অপসারণ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ফখরুল জানান, হবিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশের নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণে বিএনপির তিন শ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। একজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
ফখরুল বলেন, ২২ তারিখ সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে ৭টি জেলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। এর মধ্যে ৬টিতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি করা গেছে। হবিগঞ্জে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এসপি মুরাদ আলীর নির্দেশে ওসি নাজমুল হাসান, মাসুক আলী সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শর্টগানে প্রায় ১২ শ রাউন্ড গুলি ছুড়ে—যা সম্পূর্ণ বেআইনি। অথচ সারা বিশ্বে শর্টগানের গুলি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।