ফেনীর সোনাগাজীতে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ৬৬ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নবাবপুর বিসি লাহা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন রনি নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী শাহ আলমের সমর্থকরা অপর মেম্বার প্রার্থী আজাদ হোসেন কিরণের তিন সমর্থক সুজন, রবিউল ও নাজিমকে এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করেন।
সাড়ে ১১টার দিকে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী আলাউদ্দিন এস্কান্দার ও হাফেজ কামালের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে সবুজ, নিলয়, নূর আলম, কবির আহাম্মদ ও ওমর ফারুক আহত হন। ওমর ফারুক নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
দুপুর ২টার দিকে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী ওমর ফারুক সজীবের সমর্থকদের সঙ্গে ও নুর ইসলাম লিটনের সমর্থকদের গোলাগুলিতে নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহতরা হলেন—দুই বছর বয়সী শিশু আসমা আক্তার, তার মা ফাতেমা আক্তার ফারিহা, আবুল কালাম, হৃদয়, নয়ন, নিরব, সাইফুল, মাকসুদ, শফি উল্যাহ, নেয়ামত উল্যাহ ও আবুল বশর। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলাকালে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার দায়ে ৬৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের অধিকাংশই ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার দায়ে ৬৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে ছিল।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাইনুল হক জানান, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।