ওয়ার্ড-ইউনিটে বিতর্কিতদের স্থান দেয়া যাবে না: আব্দুর রহমান

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য তৃণমূলে সুবিধাবাদি, বিতর্কিত ও হাইব্রিডদের স্থান দেয়া যাবে না। দলের দুর্দিনের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে এবং তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

আজ সোমবার ( ২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ৪১ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ন কবির, সহ সভাপতি সাজেদা বেগম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর প্রমুখ।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা ৭৫’এ ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে হত্যাকারীরা ভেবেছিল- বাংলাদেশ আর উন্নয়নের দিকে যাবে না। এ দেশে আর বঙ্গবন্ধুর হত্যা বিচার হবে না। বাংলার মানুষ কখনো আর জয় বাংলার ধ্বনি দিবে না। কিন্তু আজ শেখ হাসিনা বাঙলার মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করেছেন। অসহায় ও দরিদ্ররা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকালীনভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা পাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাঙলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পুরো বাঙালী জাতিকে উন্নত জাতি হিবাসে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে। জয় বাংলার ধ্বনি উচ্চারণ হচ্ছে।

দেশের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম তুলে ধরে আব্দুর রহমান বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবনের বাঁকে বাঁকে বঙ্গবন্ধু নির্যাতন, নিপীড়ন, জেলা-জুলুম সহ্য করেছেন। তিনি যদি ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণ না দিতেন- তাহলে ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ কখনোই হতো না। তিনি যদি বজ্রকণ্ঠে না বলতেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন বলেই বাঙালীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু লড়াই সংগ্রাম করেছেন বলেই- আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে বলি আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রের মানুষ। আমরা স্বাধীন বাঙলার নাগরিক।