রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপে অংশগ্রহণ না করার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

মির্জা ফখরুলের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যতিরেকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোনও নির্বাচন কমিশনই করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন, তার কোনও ক্ষমতা নেই পরিবর্তন করার। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ কোনও ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারবে না। বিএনপি অর্থহীন কোনও সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয়।’

‘বিগত দুইটি নির্বাচন কমিশন গঠনের পূর্বে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছিল। বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছেপেশ করেছিল। কিন্তু সব উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির অভিযোগ, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনি ব্যবহার, নির্বাচন কমিশনের চরম ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দলীয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পর পর দুটো নির্বাচন কমিশনই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সোমবারের ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন— ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।