ইসি গঠনে তাড়াহুড়ো করে আইন করার মধ্য দিয়ে আরেকটি পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা প্রণয়ন করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর, সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ, এর কোনও বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির এ অবস্থান তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব জানান, স্থায়ী কমিটি মনে করে, যেহেতু এই সংসদ জনগণের ভোটে বৈধভাবে নির্বাচিত নয় সেই কারণে এই সংসদের কোনও নৈতিক এখতিয়ার নেই এই ধরনের কোনও আইন প্রণয়নের। গোপনীয়তার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে এই আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতারণা ও আরেকটি পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশা মাত্র।
দলটির দাবি, ‘দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনও নির্বাচন কমিশনেই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে না যদি না নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের একতরফা সাজানো ভোটারবিহীন ও মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব উল্লেখ করেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানায়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।