সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। আর নন্দদুলাল, সাগর ও রুবেলসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। সেই সাথে এপিবিএন এর সদস্য এসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিবসহ ৭ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে মামলার বিবরণীতে আদালত মন্তব্য করেন, পরিদর্শক লিয়াকত ও নন্দদুলালের সক্রিয় ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। সেই সাথে গুলি করার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়া মেজর সিনহাকে লাথি মারার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে পূর্ব পরিকল্পিত বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুুপুর ২টার দিকে চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়। ৩০০ পৃষ্ঠার রায় পড়ে শুনানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সিনহা রাশেদ খান। প্রথমে পুলিশ এই ঘটনায় মেজর সিনহার কয়েক সঙ্গীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ৫ আগস্ট বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বোন। মামলায় তিন মাসের তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত সংস্থা র্যাব।