যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি জানে, তাদের দুর্নীতি, দুঃশাসন আর জনবিচ্ছিন্নতার কারণে মানুষ তাদেরকে ভোট দিবে না। বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। অগ্নিদগ্ধদের কষ্টের কথা, অগ্নিসন্ত্রাসে স্বজন হারানো মানুষের কান্না কি দেশের জনগণ ভুলে গেছে? ঐ নারকীয় অগ্নিসন্ত্রাসের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপি নামক অগ্নিসন্ত্রাসীদের মানুষ ভোট দেবে না।
শনিবার ( ৫ মার্চ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিএনপি-জামায়াতচক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে যুবলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
পরশ বলেন, বিএনপি জানে, তাদের জন্য মানুষের কাছে কেবল ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। আর সে কারণেই তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। যার ফলে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে হানাহানি করছে। কিন্তু দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকারের ওপরে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে জয়ী, মুক্তিকামী বাঙালি তাদের এই অশুভ তৎপরতাকে নস্যাৎ করবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি কেন নির্বাচনে যেতে চায় না? এই বিষয়টি পরিস্কার। কিছু সুবিধাবাদীদের নিয়ে সামরিক শাসকের হাতে গঠিত বিএনপি প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার ফলে সুবিধাবাদী এই বিএনপি নেতারা হতাশ। তারা সবাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি এদেশের মানুষকে কিছুই দেয়নি। বরংচ, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছেন। দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন অর্থাৎ শেখ হাসিনা দেশের মর্যাদা উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত করে দিয়েছেন। তাই জনগণ বিএনপির সাথে নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এদেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ জানে, বিএনপির হাতে এদেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় তারেক জিয়া এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সেই অবৈধ টাকাই এখন বিদেশে লবিস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, খালেদা জিয়া আর তারেক জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর বিএনপির নেতা কে? কাকে নিয়ে তারা ক্ষমতায় যাবে? তাদের প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী কে? আসলে বিএনপি ভালোভাবেই জানে, তাদের কোন নেতা নেই। নেতা ছাড়া কোন রাজনীতি হয় না, নির্বাচনও হয় না। তাই বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভুল করতে চায়, তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়। যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দ্যেশে বলছি-আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাত যদি কোন ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন।