বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কথা খুব পরিষ্কার— আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। আমাদের সেই মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব মানুষকে ১৯৭১ সালের মতো ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আরও একটি মুক্তিযুদ্ধে নেমে এ দেশকে মুক্ত করতে হবে। জনগণকে মুক্ত করতে হবে।’
রোববার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধ শুরু হচ্ছে, তা বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। আমাদের এই যুদ্ধ আমাদের অধিকারকে ফিরে পাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ হচ্ছে এ দেশের মালিক। তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা ভোট দিতে চাই, আমরা দেশের মানুষের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চাই। আর তারা কখনোই এই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে নয়। আজ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে কেন? কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নির্বাচন হলে তারা কখনোই নির্বাচিত হতে পারবে না।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে আওয়ামী লীগ নেতারা জড়িত মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটাই মাত্র কারণ। আর সেই কারণটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং নেতাদের দুর্নীতি। আজ তারা এই দুর্নীতি থেকে ফুলে-ফেঁপে বড় হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছে কেন? কারণ সয়াবিন তেলের ব্যবসা যারা করে, তাদের পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ করা তখনই সম্ভব হবে, যখন একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে তখনই, যখন গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারব তখনই, যখন একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। সেই সরকার আসতে হলে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো কিছু বুঝি না। একটা নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তার আগে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সেই সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আর এইটাই হবে বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ এর চেতনা বাস্তবায়িত করা।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমানাউল্লাহ আমান প্রমুখ।