ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর ২৫ দিনেও দেশটির রাজধানী কিয়েভ দখলে নিতে পারেনি রুশ সেনারা। তাদের প্রাথমকি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের শাসনব্যবস্থা পরিবতনের চেষ্টা করেও তারা সফল হতে পারেনি।
যুদ্ধ অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট (আইএসডব্লিউ) এমন দাবি করেছে বলে রোববার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। পরবর্তীতে রাশিয়ার কী করা উচিত, সে বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই গ্রুপটি বলছে, এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই রাশিয়ার উচিত হবে চলমান অভিযান বন্ধ করা। একই সঙ্গে দীর্ঘ বিরতি গ্রহণ করে একটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা। সেই নতুন প্রচারণার জন্য সংস্থান তৈরি করা, সেটা হলেই এটি আবার চালু করা।
কিন্তু রুশ সামরিক বাহিনী এখনো সেই পদ্ধতি গ্রহণ করেনি এবং এই ‘চূড়ান্ত অভিযানে’ গতি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানায় আইএসডব্লিউ।
আইএসডব্লিউ জানায়, এর ফলে ইউক্রেনজুড়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় মাসব্যাপী রক্তাক্ত যুদ্ধ চলছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর রোববার (২০ মার্চ) ২৫ দিনের মতো যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটি ছেড়ে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এই যুদ্ধে গোলাবর্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। শুক্রবার (১৮ মার্চ) ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো নতুন কিনঝাল ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পশ্চিমে একটি অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করতে এই ‘ভয়ংকর’ অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।