দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি পদক্ষেপ এখনও কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। খুচরা বাজারে সরকারি পদক্ষেপের কোনো কার্যকারিতা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
বুধবার (২৩ মার্চ) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ন্যাপ ঘোষিত ‘স্বাধীন পূর্ববঙ্গ দিবস’ স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ও মোহমুক্ত হয়ে সঠিক ইতিহাস রচনা ও চর্চা করতে হবে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যার যতটুকু অবদান আছে তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। তাদের প্রতি জাতি হিসেবে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে যে দামে কয়েকটি নিত্যপণ্য নিম্নআয়ের লোকজনকে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা যৌক্তিক নয়। সেসব পণ্যের দাম অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। পরিমাণ তিনগুণ করতে হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর গণশুনানি বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়বে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ জনগণ আরও দুরবস্থায় পড়বে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগণকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দেওয়ার আহ্বান জানান মওলানা ভাসানী। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভবন ও সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ছাড়া বাংলাদেশের কোথাও পাকিস্তানের পতাকা ওড়েনি। স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে সে দিন ‘প্রতিরোধ দিবস’ পালিত হয়। আর মওলানা ভাসানীর আহ্বানে ন্যাপ ‘পূর্ব বাংলা দিবস’ পালন করে।
বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
