দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বিএনপি-জামাতের কারসাজি এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে।
রোববার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে যুবলীগের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা বলেন।
শেখ পরশ বলেন, বিএনপি-জামাতের একটা বড় ইস্যু হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে। আপনারা একটু যাচাই-বাছাই করে দেখেন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে মূলহোতা কারা। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা তাদের অতীত ইতিহাস কী তাহলে বুঝতে পারবেন। এর পেছনে বিএনপির হাত আছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, পবিত্র রমজান মাস আমাদেরকে শিক্ষা দেয় আমরা যেন সংযম, ধৈর্য ও শক্তির সাথে এই মাসটা অতিবাহিত করি। আত্মশুদ্ধির মাস, আত্ম সমালোচনা করারও মাস এটা এবং নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া বা আত্মত্যাগের মাসও এটা। আমরা প্রতি বছরই রমজান মাসে মাসব্যাপী সুবিধাবঞ্চিত ভাই-বোনদের সাথে ইফতার ভাগাভাগি করি। তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করি।
তিনি বলেন, আমরা যুবলীগ বলতে চাই আমরা সবসময় নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের সংগঠন। এই সংগঠনটি কোন ক্যান্টনমেন্ট বা সামরিক জান্তা থেকে জন্ম হয়নি। এই সংগঠনের জন্ম হয়েছে গণমানুষের কথা বলতে বলতে, মানুষের অধিকার আদায়, সংগ্রামের মাধ্যমে।
‘যখনই আওয়ামী লীগের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন মান উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তখনই এদেশকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারী বিভিন্ন বিদেশি মহল কখনই চায়নি এদেশের মেহনতি, দুঃখী মানুষ শান্তিতে থাকুক, ভালভাবে বেঁচে থাকুক, আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। ভূ-রাজনৈতিক কারণে এটা কখনো তারা চায়নি।’
পরশ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর বুকে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা কোন ছোট ঘটনা নয়, আমরা দেশ হিসেবে ছোট হতে পারি। কিন্তু আমরা মর্যাদাশীল দেশ। দারিদ্রের হার যেখানে ৪০% ছিল, সেখানে হ্রাস পেয়ে ২০% নেমে এসেছে। আজকে মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
এসময় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।