বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নাটক করেই যাচ্ছে। সিভিল সোসাইটিকে ডাকছে, সাংবাদিকদের ডাকছে। তাদেরকে ডেকে খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলছেন। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সুন্দর বাংলা বলেন। কথা বলার ভঙ্গিও সুন্দর। আগের ভদ্রলোক তো যে কোনো কথাই ভিন্নভাবে বলতেন। তবে, বর্তমান সিইসি চমৎকার কথা বলে মানুষকে বিমোহিত করার চেষ্টাও করেন। ’
শুক্রবার( ৮এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইসি যে নাটকগুলো করছে তা সবচাইতে ভয়াবহ। এই নাটকগুলো করে তারা আবার নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। যে নির্বাচন তারা আগের মতোই জোর করে এবং ভিন্ন কৌশলে..। এবার হয়তো আগের মতো নির্বাচন হবে না। কোন ধরনের নির্বাচন হবে? গতবার তো আগের রাতেই নির্বাচন হয়ে ছিল। এখন ৭ দিন আগেই হয়ে যাবে কিনা জানি না। ইট ইজ গোয়িং টু হেপেন। ’’
গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকরাও কম ভুক্তভোগী নন। এরই মধ্যে আপনাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। অনেককে জেলে যেতে হয়েছে সত্য কথা লেখার জন্য। এখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। এখন গণমাধ্যম কর্মী আইন করতে যাচ্ছে। আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলছেন এটা নাকি রিভিউ করা হবে। রিভিউ করে কী করবেন?- সেটা তো আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ক্ষেত্রে দেখেছি। যার ফলে এটা কোনো মতেই গণতন্ত্রের নিরাপদ দেশ নয়। এই দেশ এখন সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদী, এককথায় বলতে গেলে একটা ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে পড়েছে। এই সরকারকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। ’
খালেদা জিয়ার মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে মামলা, এটা কোনো মামলা না। এটার মধ্যে কিছুই নেই। সবমস্ত মিথ্যা কথা দিয়ে সাজানো মামলা। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করলেন, সংগ্রাম করলেন তাকে এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে। গণতন্ত্র হত্যার জন্য তাদেরকে দায়ী থাকতে হবে। একদিন না একদিন তাদেরকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, সদস্য ইশরাক হোসেনসহ রিমান্ডে নেওয়া নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, এখন পুলিশের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যে রকম আচরণ করে তা খুবই দুঃখজনক। এই দেশ কোথায় চলে যাচ্ছে? যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা যে ভাষায় কথা বলেন, এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা। তাদেরকে দেখে মনে হয় না আমরা কোনো সভ্য সমাজে বাস করছি।