কথার যুদ্ধ বন্ধ করে ভোটের যুদ্ধে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। সমালোচনা করে লাভ নেই, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন। বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে। সমালোচনা ও কথার যুদ্ধ বন্ধ করে আসুন নির্বাচনে লড়াই করি।’
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে রমজান উপলক্ষে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায়দের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ, ঘাতকের আঘাতে নিহত উসামা বেগম কনকের পরিবার ও ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা গণতন্ত্র নিয়ে দ্বৈত আচরণ করছেন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বহুদলীয় রাজনীতির মুখোশের আড়ালে যা করেছে, তা বাংলাদেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি। বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা।’
আওয়ামী লীগ তামাশার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ। জনগণের আস্থা হারিয়েছে বলেই বিএনপি আজ জনগুরুত্বহীন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মতো এত ভালোভাবে দেশ কেউ পরিচালনা করেনি। দেশের মানুষ অতীতে কখনো এত ভালো ছিলো না। দেশ চালাতে গেলে ছোটখাটো ভুল হতে পারে। সব কাটিয়ে আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, অন্য কেউ তা পারেনি। বিএনপির নেতারা শুধু সমালোচনাই করতে জানে, উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের সমালোচনা শুনে লাভ নেই। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করে দেখুন, দেশের মানুষ ভালো আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে কারও কাছ থেকে এক পয়সাও ঋণ নেওয়া হয়নি। শতভাগ দুর্নীতিমুক্তভাবে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।