শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের জেরে ঢাকা কলেজের সব আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ৫ মে পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। এছাড়া আজ বিকেলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাত থেকে নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইট পাটকেলের আঘাতে আহত অবস্থায় ২২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৫), মো. সেলিম মিয়া (৪০), মো. রাজু (১৮), মো. কাওছার আহমেদ (১৮), মো. আপেল (১৬), মো. সাগর (১৮), মো. রাসেল(১৫), মো. রাহাত (১৯) ও মো. আলী (২২)। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
সবশেষ খবরে জানা যায়, পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে কলেজ চত্বরের ভেতর পাঠালে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেন। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন। পরে তারা নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাবে অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা মার্কেট থেকে সড়কে বেরিয়ে এলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ এসে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের ভেতর অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের কারণে আজিমপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ আছে নিউমার্কেট এলাকার অন্তত ২০টি মার্কেটের দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ কেনাকাটার ভর মৌসুমে এমন ঘটনা দুঃখজনক। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে তাদের ক্ষতি শত কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন।