আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারের সময় শেষ হচ্ছে সোমবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে। এক্ষেত্রে রাত ১২টার পর কোনো ধরনের প্রচার কাজ চালানো যাবে না।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারেন প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে। আর প্রচার শেষ হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে।
ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১৫ জুন সকাল ৮টায়। তার আগের ৩২ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবার রাত ১২টায় প্রচারের সময় শেষ হবে।
এছাড়া ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত কোনো প্রকার মিছিল, বিজয় মিছিল, মশাল মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা করা যাবে না।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে মেয়র পদে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ প্রার্থী।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে।
কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দু’জন।
ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে, ১৬ হাজার ৪৭৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩ হাজার ৮৯৪ জন।