শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দিনেশ গুনাবর্ধনে। শুক্রবার (২২ জুলাই) শপথগ্রহণ করেন তিনি। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই দিনেশ গুনাবর্ধনেকে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এর আগে জানা যায়, শ্রীলঙ্কায় একযোগে পদত্যাগ করা আগের মন্ত্রিসভাই আবারও শপথ নিতে চলেছে। শুক্রবার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে শপথ নেওয়ার কথা তাদের। জাতীয় সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে এই মন্ত্রিসভা এবং পরে তাতে রদবদল আনা হবে।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সৃষ্ট রাজনৈতিক টানাপোড়েনে একযোগে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির মন্ত্রিসভার সব সদস্য। গত ৩ এপ্রিল লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ছাড়া মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগকারী মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নামাল রাজাপাকসেও।
এর পরের দিনই নতুন চারজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাসিল রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হন আলি সাবরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান জিএল পেইরিস। এছাড়া দীনেশ গুনাবর্ধনে শিক্ষামন্ত্রী ও জনস্টন ফার্নান্দো মহাসড়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
সেই সময়ও পদত্যাগ করেননি প্রেসিডেন্টের ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা। তবে আন্দোলন ক্রমেই সহিংস হয়ে ওঠায় শেষ পর্যন্ত গত ৯ মে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর তিনদিন পরে (১২ মে) শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
তবে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ তাতেও কমেনি। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণ-আন্দোলনের মুখে গত ১২ জুলাই রাতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তৎকালীন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রথমে মালদ্বীপ, এরপর সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে জয়ী হন রনিল বিক্রমাসিংহে।