বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে রাস্তায় মঞ্চ বানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।
রোববার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। এতে বিএনপি অফিসের সামনে ভিআইপি রোডের একপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিএনপি সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে নয়াপল্টন সড়কের একটি লেন ছেড়ে দেয় নেতাকর্মীরা। ফলে সিঙ্গেল লেনে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।
ভোলার নূরে আলম ও আব্দুর রহিম হত্যা এবং জ্বালানি তেল ও সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে কৃষক দল।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সঞ্চালনায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। ইতোমধ্যে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক দলের বাইরেও বিএনপির মহানগরের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ যোগ দিয়েছেন। আগত নেতাকর্মীদের বসার জন্য রাস্তায় কার্পেট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য রাজপথে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। তখন লাখ-লাখ নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে আসবে। আজকে রহিম, নূরে আলমকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করে কি আমাদেরকে দমাতে পারবেন? পারবেন না। আমরা রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় নিতেই হবে।