ইউক্রেনকে আরও প্রায় ৯ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর পুতে রাখা স্থল মাইন অপসারণে এই অর্থ ব্যয় হবে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই অর্থ মাইন অপসারণে কাজ করা ১০০ টিমকে সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে আনুমানিক ১ কোটি ৬০ লাখ হেক্টর অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ইউক্রেনীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হবে।
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার আগে বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাইন এবং অন্যান্য বিস্ফোরক রেখে গেছে রুশ সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা খাদ্য সহায়তা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গাড়ির ট্রাঙ্ক, ওয়াশিং মেশিন, দরজা, হাসপাতালের বিছানা এবং যুদ্ধে নিহত মানুষের মৃতদেহে বিস্ফোরক মাইন রেখে গেছে রুশ বাহিনী। এতে পরিস্থিতি অনেক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন জানিয়েছে যে, ইউক্রেনের জন্য তারা নতুন করে আরও ১০০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা প্যাকেজের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং মেডিকেল সুবিধাসংবলিত সাঁজোয়া যান সরবরাহ করা হবে।
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে যে পরিমাণ সামরিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এটাই তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে ইউক্রেনকে এখন পর্যন্ত ৮৮০ কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী সহায়তা প্যাকেজটি ঘোষণা করা হলে এতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাইমোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স), ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (নাসামস) এবং প্রায় ৫০টি এম১১৩ মেডিকেল-সুবিধাসংবলিত সাঁজোয়া যান থাকবে।
পেন্টাগন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, রামস্টেইন বিমান ঘাঁটির কাছে জার্মানির একটি মার্কিন সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেনের নাগরিকদের চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া গত সোমবার পেন্টাগন ইউক্রেনের জন্য ৫৫ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। ওই প্যাকেজের মধ্যে হিমার্স-এর জন্য অতিরিক্ত গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে নতুন প্যাকেজের বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনকে ২৭ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির ড্রোনও রয়েছে।