বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কখনই চায়নি বাংলাদেশ স্বার্থকতা ও সফলতা অর্জন করুক বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেছেন, খুনিরা সবসময়ই সচেষ্ট ছিল বাংলাদেশ যেন পাকিস্তানের মতো একটা মৌলবাদী ও পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। তাই আমরা দেখেছি সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান, যেটা আমাদের প্রোগ্রেসকে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। আমি আশা করি আমাদের এই প্রজন্ম এ ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকবেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনারা আগামীতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) উদ্যোগে আইবিএ’র অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ পরশ বলেন, আমরা কি ওই ধরনের সমাজব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই, যেখানে ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস বিকৃতি করার মহোৎসব পালিত হয়? প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মিথ্যা ইতিহাস চাপিয়ে দেওয়া হয়? যেখানে মুক্তচিন্তার পথ রুদ্ধ করা হয় এবং ভিন্নমতের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়? যেখানে ৬৪টি জেলায়, প্রেসক্লাবে একযোগে সিরিজ বোমা মেরে গণমানুষ ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়?।
তিনি বলেন, প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থায় ধর্মান্ধতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্মনিরপ্রেক্ষতা শুধু একটা হাল ফ্যাশন দুরস্ত, রাজনৈতিক বক্তব্য না। ধর্মনিরপ্রেক্ষতা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। যার যার বিশ্বাস তার তার। বিশ্বাস তো কখনো চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শেখ পরশ বলেন, শুধুমাত্র চাকরির ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না, নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। সরকারের পাশাপাশি কীভাবে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করা যায়, নিজস্ব মেধা কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১৩ বছরের উন্নয়নে দেশের চেহারা বদলে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের ধারায় থাকায় স্বাধীনতাবিরোধীদের সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাচ্ছে।