বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের গোলাগুলি অচিরেই থেমে যাবে। মিয়ানমার সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। বিজিবি সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে শক্তভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে নবনির্মিত পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মি নামের একটি দল মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কিছু গোলা বাংলাদেশের সীমানায় পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রতিবাদ করেছে।
গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, বান্দরবান সীমান্তে চলমান উত্তেজনা মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর জন্য নয়, নেপিডো এমনটাই জানিয়েছে ঢাকাকে। পররাষ্ট্র সচিব জানান, মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ পরিকল্পিত নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। হঠাৎ তুমব্রু কোনার পাড়া এলাকার সিএনজি চালক শাহজাহানের বাড়ির উঠানে একটি রাইফেলের গুলি এসে পড়ে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরে টহলরত বিজিবিকে খবর দিলে তারা এসে গুলিটি নিয়ে যায়। গুলি এসে পড়লেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান।
তবে এলাকার বসবাসরত সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে এবং বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে। গেলো কয়েকদিন ধরেই নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর আগেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের সীমান্তে গুলি করা হয়। এসব ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়েছে।