চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন। ওনাকে আমরা সরিয়ে দেবো।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এই মূহুর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেওয়া। তাকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া- বলেন রাশেদা সুলতানা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে ডিসি মমিনুর রহমান ওই প্রার্থীর পক্ষে মোনাজাত ও ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, বিদ্রোহী যারা আসছে তারা একই দলের। একটা দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদ নির্বাচন নেই। তারপর প্রশাসক আসল। এই অবস্থায় তো চলা যায় না। প্রশাসক আর নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলার পর আমরা নির্বাচন দিলাম। আমাদের কাজ শুধু নির্বাচনটা নামানো। দলীয়ভাবে হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। একজন দাঁড়াচ্ছে, আরেকজন দাঁড়াচ্ছেন না। কাজেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা বেআইনি নয়। আবার নির্বাচনে কেউ অংশ নিতে পারবে না, এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা তো নয়। আমরা চাচ্ছি সবাই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কেউ যদি না আসে, কেমন করে তাদের আমরা আনব।
এই কমিশনার বলেন, দেশে অনেক ঘটনাই ঘটছে। তা কারো জন্যেই কাঙ্ক্ষিত নয়। ছোটবেলায় আমরা দেখেছি, স্থানীয় নির্বাচন দলীয় নয়। কিন্তু অলিখিতভাবে অনেক কিছু হয়ে যায়। এটা বন্ধ করা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এগুলো কিন্তু আমরা আমলে নেব না। ইতোপূর্বেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।