পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৩নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সুবিধখালী রোকেয়া খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হানিফ তালুকদারের যোগ্য উত্তরসূরী মো. কামরুজ্জামান সোহেল তালুকদার।
এলাকায় ক্লিন ইমেজের প্রতিচ্ছবি, সৎ, যোগ্য, মেধাবী, দানশীল কামরুজ্জামান সোহেল তালুকদার উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
কামরুজ্জামান সোহেল সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা দীর্ঘদিন থেকেই এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। তিনি এলাকায় একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। শিক্ষার্থীদের সামাজিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্ট ফোরাম ‘ঢাকা এর উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত আছেন তিনি।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করছেন। হানিফ তালুকদারের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তিনি তার বাবার সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে চান। সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করে সবার দোয়া ও আশীর্বাদ চাচ্ছেন। জনসাধারণও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তাকে।
নির্বাচনে অংশ গ্রহনের বিষয়ে কামরুজ্জামান সোহেল বলেন – আমি দীর্ঘদিন আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ভাবে বিরাজমান আছি। আপনাদের দোয়া ভালোবাসা,স্নেহ নিয়ে আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ৩ নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়তে চাই। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল নেশা থেকে রক্ষার কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে চাই। যাতে করে, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন থেকে মাদকের বীজ সহ উপড়ে ফেলা যায়। বর্তমানে আমাদের মা বোনরা স্কুল, কলেজে যেতে পারছে না ইভটিজিংয়ের ভয়ে। আমি প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সিসি ক্যামেরার আয়তাধীন করে নিরাপদ যাতায়াত সহ এলাকার চুরি,ডাকাতি ও বিভিন্ন অপরাধ নির্মূল করতে চাই। আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমি আপনাদের সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি এবং আমার জন্য দোয়া চাচ্ছি আল্লাহ যেন আমার সহায় থাকেন। যারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করছেন আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার ৩নং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ ইন্তেকাল করেন বিধায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে যায়।