বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যারা আমাদের স্বাধীনতার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে কেড়ে নিয়েছে, যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করেছে, রুটি-রুজি বন্ধ করে দিয়েছে, কৃষক, খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের পেটের ভাত কেড়ে নিয়েছে। তাদের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও জোড়পুকুর খেলার মাঠের পাশের সড়কে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন। আর সময় নেই, বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। কারণ, এই সরকার আজ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম। স্বপ্ন দেখেছিলাম একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি করব, গণতন্ত্র থাকবে, প্রতিবাদ করতে পারব, কথা বলতে পারব, সভা-সমাবেশ করতে পারব। সাধারণ মানুষকে মোটা কাপড়, মোটা ভাত দিতে পারব। আওয়ামী লীগ কী করেছে, সেই ৭২ থেকে ৭৫ সাল, এখন আবার এই সময়ে তারা আমাদের সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, টাকা পাচার করছে, বিদেশে ঘর-বাড়ি তৈরি করছে। আর আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের পরিষ্কার কথা, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, তাকে মুক্তি দিতে হবে। মুক্তি দিতে হবে সমস্ত বন্দিদের, যাদের রাজনৈতিক কারণে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছে, সব তুলে ফেলতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। যার মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করা হবে, সরকার গঠন হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে আজকে ঐক্যবদ্ধ হই। সব রাজনৈতিক দল ও সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাই।