গত ৩ নভেম্বর দিনগত রাতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কতৃক সাংগঠনিক সম্পাদককে জোর পূর্বক রুমে ঢুকে হেনস্থার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা ইসলাম বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
খাদিজা ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলীর উপস্থিতিতে
তার কর্মীরা দরজা ভেঙে আমার রুমে প্রবেশ করে এবং মিথ্যা অভিযোগে আমাকে মারধর করে।তারা আমাকে ২ ঘন্টা রুমে আটকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে।এ ঘটনার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।আমাকে যখন মারধর করা হয় তখন ছাত্রলীগের সভাপতি শেলী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন ,সভাপতির সামনে তার কর্মীরা আমাকে রুমের দরজা ভেঙ্গে আমাকে নির্যাতন করে অথচ তিনি একবারও তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেখানে সেগুলো ভিডিও করেছেন।যার প্রত্যেকটার প্রমান আমার কাছে রয়েছে। একই সংগঠন করে একই সংগঠনের কর্মীরের উপর হামলা করে কিভাবে।এটা সত্যি রাজনীতির জন্য লজ্জাজনক।
তিনি আরও বলেন, অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে আমি নাকি আমার রুমের শিক্ষার্থী কলিকে মারধর করেছি।এমন কোন ঘটনায় ঘটেনি। এটি সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত-ভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।ঘটনার সূত্রপাতে আমার রুমমেট কলিকে শেলির রুমে আটকে রাখা হয় এবং মিথ্যে অভিনয় করতে বাধ্য করে যা পরবর্তীতে অধ্যক্ষ ম্যামের রুমে মেয়েটি স্বীকার করে নেয় এবং মিথ্যে অভিনয়ের কারনে অধ্যক্ষ ম্যাম মেয়েটিকে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
খাদিজা বলেন, ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যে এবং সভাপতি শেলির অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে সে আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার করছে। সে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমি এর তীর্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিনা আক্তার সাইমুন বলেন, এমন কোন ঘটনার আমরা প্রমাণ পাইনি। কাউকে রুমে আটকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েটি শারীরিকভাবে আগে থেকে অসুস্থ ছিল। এজন্য তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে।পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলীকে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।