তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ যার দিকে তাকিয়ে আছে, সেই জনগণের নেতা ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো গুরুত্ব নেই। কারণ এতে তার কিছুই যায় আসে না। দেশের জনগণ বিজয়বেশে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করবে।
রোববার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে আয়োজন করে যুবদল।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ২৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তবুও তারা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি আর পারবেনও না।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। গতকাল শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশাল যাওয়ার পথে ইশরাকের গাড়ি বহরে হামলা করা হলো, অথচ তার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হলো। সারা দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। কোনো বাধাই কাজে আসছে না। এ লড়াই গণতন্ত্র উদ্ধারের ও মুক্তির। এ সংগ্রামে সব রাজনৈতিক দলকে এক হতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট একনায়কতন্ত্র সরকারের পতন ঘটাবেই। মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। এবার আমরা ইনশাআল্লাহ বিজয় ফিরিয়ে আনব। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব, জোবাইদা রহমানকে দেশে ফিরে আনব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে ওবায়দুর কাদের বলেছেন- ‘খেলা হবে’ মূলত কার সঙ্গে কেলা হবে? বিএনপি সঙ্গে? পারবেন না, সেই খেলায় পরাজিত হবেন, কারণ দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। তারেক রহমান দেশের মানুষকে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলেছে বলেই তাকে দমিয়ে রাখতে এত মামলার হিড়িক।
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুনার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।