যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব মহাসমাবেশের প্রস্তুতি শেষ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। লাখো মানুষের জমায়েতের মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্ষমতার জানান দেবে যুবলীগ। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, এই আয়োজন পরিণত হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মহাসমাবেশে।
জাতীয় সম্মেলনের পর শুক্রবারের যুব মহাসমাবেশটি হবে সবচেয়ে দলের বড় আয়োজন। যুবলীগের সুবর্ণ জয়ন্তীতে সারা দেশ থেকে সংগঠনের কয়েক লাখ নেতাকর্মী জড়ো হবেন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। প্রতীক্ষিত এ মহাসমাবেশের জন্য প্রায় মাসব্যাপী প্রস্তুতি ছিলো যুবলীগের।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকছে পুরো সমাবেশ জুড়ে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা আসবেন এখানে। এটা যুবলীগের ইতিহাসের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশটি হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আরেকটি ইতিহাস রচনা হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তাই এরই মধ্যে ভিভিআইপি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আচ্ছাদিত মূল মঞ্চ। সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যুবলীগ নেতারা আশা করছেন ১০ লাখেরও বেশি যুবকের উপস্থিতি ঘটবে শুক্রবারের যুব মহাসমাবেশে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে এটা আর এখন শুধু যুব সমাবেশ নেই। এখানে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং যারা দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসেন তারা এই সমাবেশে সমবেত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনবেন।