চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলের চাষযোগ্য পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট তিন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়ে আধা-সরকারি পত্র দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (১৩ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি ডিও লেটার সংশ্লিষ্ট তিন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী ডিও লেটারে স্বাক্ষর করেন।
শিল্পমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং রেলপথ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করে কৃষিমন্ত্রী তার আধা সরকারি পত্রে বলেন, বৈশ্বিক প্রতিকূল অবস্থায় সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকারি মালিকাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অব্যবহৃত চাষযোগ্য জমিতে খাদ্যশস্য, শাকসবজি, ডাল ও তেলবীজ চাষের উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান, চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলপথের অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ নিলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে। আবাদের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
পত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। সেইসঙ্গে সার ও জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশংকা দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কোনো জমি যেন পতিত না থাকে, এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসলের আবাদ এলাকা বৃদ্ধি, বসতবাড়িতে পুষ্টিবাগান স্থাপন ও প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।