বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাজনীতিতে এখন নষ্ট সময় চলছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেষ্টা করছে বিএনপি। বিএনপি লক্ষ্যে পৌঁছাতে যাতে কারও সঙ্গে আপস করবে না।’
বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার কাপুরুষের মতো মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ আগ্নেয়গিরির মতো মানুষ ফুঁসে উঠছে। বিএনপিকে আর রুখতে পারবে না। এবার এ জালিম সরকারের পতন হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে। নতুন করে দেশের অস্তিত্বকে গড়ে তুলতে হবে। যে যত কথা বলুক, এবার বিজয় অর্জন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন মওলানা ভাসানী। কঠিন লড়াই জয়ী হতে হলে মওলানা ভাসানীকে প্রতি মুহূর্তে স্মরণ করতে হবে, তাহলে সফল হওয়া যাবে। বাংলাদেশের এ অবস্থা মওলানা ভাসানীকে স্মরণ করলে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ মিলবে।
ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু জনগণ আগ্নেয়গিরির মতো ফুঁসে উঠছে। এর মাধ্যমে এ জালিম সরকারের পতন হবে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা ভয়ে আছেন। আমি শুনেছি, কেউ কেউ নাকি ব্যাগও গোছাচ্ছেন। ১০ তারিখ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন, এমপি-মন্ত্রীরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। এত ভয় কীসের?’
তিনি বলেন, ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, ১৪ ও ১৮ সালে যে নির্বাচন করেছেন, তাহলে তিনি বলতেন হারামজাদারা এটা কী করেছে?’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। সভাপতির বক্তৃতায় নোমান নেতাকর্মীদের নিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।