কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শহরের পিটিআই রোড এ হামলার ঘটনা ঘটে। চ্যালেঞ্জ অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একটি পক্ষ হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে। তবে সংগঠনের কয়েক নেতাকর্মীর দাবি, এলাকাবাসী তাকে পিটুনি দিয়েছে।
আহত ব্যক্তির নাম শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে চ্যালেঞ্জ আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়িতে ঢুকে চ্যালেঞ্জের ওপর চড়াও হয় কয়েকজন। তিনি বাড়ির সিলিংয়ে স্টোররুমে উঠে গেলে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়। রাস্তায় বের করে নিয়ে পিটিয়ে পোশাক ছিড়ে ফেলা হয়।
চ্যালেঞ্জ জানান, ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত গ্রুপিংয়ের কারণে আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি খালার বাসায় বেড়াতে আসলে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। তারা আমার খালাতো বোনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কথা বলে। ছাত্রলীগের নামধারী ওইসব হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। বিচার না হলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
নাম প্রকাশ না করে ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী জানান, সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর থেকেই চ্যালেঞ্জ বিয়েবহির্ভূত বেশ কিছু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ছাত্রলীগে পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে নানা রকম সুবিধা নিয়েছেন। একটি বাড়িতে একটি মেয়ের সঙ্গে দেখে তাকে এলাকার লোকজন আটক করে পিটুনি দিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর বলেন, এটা একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। গুটিকয়েক নেতা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রকাশ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটা অবশ্যই দুঃখজনক। কারা দলের মধ্যে ঢুকে এ সমস্ত কাজ করছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে চ্যালেঞ্জকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।