মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমরা চাইলে একই সংবাদ নানাভাবে পরিবেশন করতে পারি। সাংবাদিকতায় বিরোধীতার জন্যে বিরোধীতা নয়, বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করতে হবে।
দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করি, সেটা না করে সমালোচনা করতে হবে কল্যাণের জন্য। হেয় করার জন্যে নয়, ছোট করার জন্যে নয়। বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করলে ত্রুটি বিচ্যুতি শুধরে নিতে পারবে সবাই। সেটার ফলে দেশ এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, সমাজ পরিবর্তনের অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে, তার মধ্যে গণতন্ত্র সর্বোত্তম। গণতন্ত্রের অনেক সংকট থাকলেও গণতন্ত্রই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
একটি পত্রিকার সংবাদের সূত্র ধরে মন্ত্রী বলেন, একটি ব্রিজ হয়েছে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। এটার তো ইউটিলিটি নেই, দায়সারা কাজ। প্রতিষ্ঠান যদি দায়িত্বশীল হয়, তাহলে চোখ খুলে যাবে। দেশ এগিয়ে যাবে।
ডিআরইউ সদস্যদের পরমত সহিষ্ণুতার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, আমরা হতাশ হবো না, এখনে সবাই একসঙ্গে বসছেন, এটা ভালো দিক। ভোট দেওয়ার সময় তখন যাকে ইচ্ছে ভোট দেন, এটা ভালো।
মুক্তিযুদ্ধে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যেহেতু আমার সম্পৃক্ততা ছিল সেই জায়গা থেকে বলছি, পতাকা বা ভূখণ্ডের জন্যেই শুধু বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি। মৌলিক অধিকার বিশেষ করে ভাত, কাপড়, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য।
মন্ত্রী বলেন, যে কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো দেশে বিতর্ক হয় না। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত যেন বৃথা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের।
সভায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব ও অর্থবিষয়ক সম্পাদক এসএমএ কালাম।