আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নাকে খত দিয়ে গোলাপবাগ গরুর হাটে সমাবেশ করেছে। বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, ১০ তারিখ পল্টনেই সমাবেশ করবেন, এক ইঞ্চিও সরবেন না। তারা বলেন আপসহীন নেতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেলেন কই? সেই গোলাপবাগের গরুর হাটের মাঠে।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা আমানউল্লাহ আমান গোলাবিহীন কামানের কথায় মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। না জানি কী করে ফেলবে! বিএনপির সমাবেশে কেউ বলেন দশ লাখ, কেউ বলেন ২৫ লাখ লোক হবে, ঢাকায় এক ইঞ্চি যায়গাও খালি থাকবে না। মাত্র ১৫-২০ হাজার লোক নিয়ে বিএনপি সেখানে তামাশা করে চলে গেছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটির আয়োজন করে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে মায়া বলেন, ভালো হয়ে যান, ভালো হতে পয়সা লাগে না। ভালো কাজ করতে গুন্ডামি করা লাগে না। চলেন, সবাই মিলে এক সঙ্গে ২০২৪ সালের নির্বাচনটা করি। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এই স্লোগানের ভিত্তিতে আপনারা (বিএনপি) এবং আমরা মিলে নির্বাচনটা করি। আর নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যেতে পারবেন, পল্টনে সমাবেশ করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, একটি স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে তারা (বিএনপি) কিন্তু আবার মাঠে নেমেছে। তারা একের পর এক কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির নামে তারা সরকারকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করছে। ১০ তারিখ তারা দেশকে উল্টিয়ে ফেলবে বলেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ রাজপথে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিজয়ের মাসে কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হব না। বিজয়ের মাস মুক্তিযুদ্ধের মাস। এই মাস আওয়ামী লীগের মাস। স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মাস। এই মাসে তাদের (বিএনপি) ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দিতে পারি না।
সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের আহ্বায়ক নিয়াজ মুহাম্মদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. মো. কামরুল ইসলাম। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।