রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার ওপরই আবারও আস্থা রাখল রংপুরের নগরবাসী। প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়ালকে (হাতপাখা) পরাজিত করেছেন তিনি।
এ নিয়ে পরপর দুইবার রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন মোস্তফা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।
তখন থেকেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এগিয়ে ছিলেন। রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণা করেন।
২২৯টি কেন্দ্রের ফল গণনা শেষে দেখা যায়, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।
এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন (হাতি প্রতীক) ৩৩ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা) ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব প্রতীক) ১০ হাজার ৫৪৯, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম (গোলাপ ফুল) ৫ হাজার ৮০৯ ভোট, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুল রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) ২ হাজার ৮৬৪, মেহেদী হাসান স্বতন্ত্র প্রার্থী (হরিণ প্রতীক) ২ হাজার ৬৭৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ শফিয়ার রহমান (মশাল প্রতীক) ৫ হাজার ১৫৬টি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে সর্বমোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬টি ভোট পড়েছে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ ও ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
২০১২ সালের ২৮ জুন ২০৫ দশমিক ৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।