ব্রাজিলের কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতি ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালিয়েছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা। এ ঘটনায় ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর ব্রাসিলিয়ার গভর্নর ইবানেস রোচা এক টুইটারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ইতোমধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমন অপরাধের জন্য তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী অন্যদের চিহ্নিত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। একইসঙ্গে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং গণতান্ত্রিক ভিন্নমতের কোনো প্রকারের সঙ্গে বেমানান’ বলে অভিহিত করেছেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ব্রাজিলে যা ঘটছে তা আমাদের উদাসীন রাখতে পারে না। প্রাতিষ্ঠানিক অফিসে বিশৃঙ্খলার চিত্রগুলো অগ্রহণযোগ্য। এগুলো গণতান্ত্রিক ভিন্নমতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দেশটিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা জরুরিভাবে প্রয়োজন। আমরা ব্রাজিলের সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ’
প্রসঙ্গত, রোববার ব্রাসিলিয়ায় যখন এ হামলা হয়, প্রেসিডেন্ট লুলা সেখানে ছিলেন না। রাজধানী থেকে দূরে কর্মসূত্রেই সাও পাওলো গিয়েছিলেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রাজিলের হলুদ, সবুজ পতাকা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে এগোচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তারা ঢুকে যাচ্ছেন ভবনের ভেতর। কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের ছাদে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান