সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম গড়ে ১৯ পয়সা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।
চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে। এখন থেকে প্রতি মাসে বিদ্যুতের খুচরা দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হবে বলে জানা গেছে।
গত ৩০ নভেম্বর বিইআরসি অধ্যাদেশ ২০২২ সংশোধনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পায় সরকার। ওই অধ্যাদেশের আওতায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিলো বিদ্যুৎ বিভাগ। অধ্যাদেশ সংশোধনের ফলে জরুরি প্রয়োজনের জ্বালানি তেল, গ্যাস বা বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের ক্ষমতা পেয়েছে সরকার।
এর আগে চলতি মাসের ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১ টাকা ২১ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করে। সেই হিসেবে খুচরা বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৭ দশমিক ১৩ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ১৩ পয়সা করার সুপারিশ করেছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এর প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়বে বলেন মনে করছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ক্যাব)।
ক্যাব মনে করছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারের সব পণ্যের আরেক দফা দর বেড়ে যাবে, যেটা সাধারণ বা স্বল্প আয়ের মানুষের আয় সীমা ছাড়িয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উচিত হবে না বলে মনে করেন সংগঠনটির নেতারা।
গত বছরের ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠান।