জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২০০৯ সালে থেকে তিনবারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে আছেন। এরই মধ্যে আমরা দারিদ্র্যের হার শতকরা ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যাপক কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। যারা এখনো দারিদ্র্যসীমার ভেতরে বাস করছেন, তাদের জন্য দরিদ্র ভাতা, শিক্ষা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতা, চিকিৎসা ভাতাসহ নানা প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা যেমনিভাবে দেওয়া হয়েছিল তা আগামীতেও চলমান থাকবে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের আসমত আলী খান স্টেডিয়ামে মাদারীপুর উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার আরও বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে কৃষকরা ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। দেশের ব্যাংকিং সেবায় যাতে কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে জন্য এ ধরনের পরিকল্পনা। আমাদের দেশের নারীদের সার্বিক উন্নয়নে এই সরকার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের দক্ষতা যাচাই, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের আরও এগিয়ে আনা, তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেওয়াসহ আইটি সেক্টরে কীভাবে এগিয়ে আনা যায়- তা নিয়ে সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাদারীপুর মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত অংশ। এ মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন বাংলাদোশের অনেক কৃতী সন্তানরা। সকল কিছু মিলে এই এলাকার ঐতিহ্যকে সকলের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণের দ্বার মাদারীপুর জেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে।
এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য তাহমিনা বেগম, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।