নানা নাটকীয়তার পর ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। আর এই সিদ্ধান্ত ‘যুদ্ধক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার’ বলে আশা করছে কিয়েভ।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনে আপাতত ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন অন্তত ৩০টি এম১ আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ওয়াশিংটন উচ্চ প্রযুক্তির আব্রামসের পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেছে।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এই খবরটিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি ‘আরেকটি নির্লজ্জ উস্কানি’।
এদিকে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের যুদ্ধের চালান তার বাহিনীকে রাশিয়ানদের কাছ থেকে নিজেদের এলাকা ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।
বেনামি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, ইউক্রেনকে আব্রামস দেওয়া সংক্রান্ত একটি ঘোষণা বুধবারের (২৫ জানুয়ারি) মধ্যেই আসতে পারে।
নামহীন এক কর্মকর্তার উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, অন্তত ৩০টি ট্যাংক পাঠানো হতে পারে। তবে এগুলো কবে পাঠানো হবে তা অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জার্মান কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে জোর দিয়েছিলেন যে তারা ইউক্রেনে লেপার্ড-২ পাঠাতে রাজি হবেন, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এম১ আব্রামসও পাঠায়।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস জানিয়েছে, ইউরোপের অন্তত ১৬টি দেশের কাছে লেপার্ড ট্যাংক আছে। এই ১৬টি দেশের সবগুলো যে ইউক্রেন ট্যাংক পাঠাবে এমনটি নয়। তবে জার্মান চ্যান্সেলর যেহেতু অনুমতি দিতে যাচ্ছেন, ফলে ওই দেশগুলো ইচ্ছে করলে কিয়েভকে এই ভারী যান দিতে পারবে।