বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামাত সম্প্রতি তাদের পদযাত্রার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা তাদের পুরাতন চরিত্র। যখনই বিএনপি-জামাত মাঠে নামে তখনই এদেশের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অপরাজনীতি করার চেষ্টা করে। আমি মনে করি এদেশের জনগণই বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ। এদেশের সাধারণ মানুষকে তারা বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে শিকার বানানোর চেষ্টা করে। সেই প্রচেষ্টা এখনও বিদ্যমান।
তিনি বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিপীড়িত, দুঃখী, নিম্নমধ্যবিত্ত, অস্বচ্ছল খেটেখাওয়া মানুষেরা শান্তির মুখ দেখছে, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে। আমরা করোনা মহামারিকে মোকাবিলা করেছি, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সাধারণ মানুষ স্মার্ট ফোন ব্যবহার এবং নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ঠিক তখনই বিএনপি-জামাত নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা ও অপরাজনীতির উপর ভর করে তারা আমাদের সাধারণ মানুষকে আবারও শিকার বানানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন স্থানে তারা অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে চাচ্ছে।
বিএনপি-জামাতের পদযাত্রা’র নামে সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘোষিত ৫ দিনের কর্মসূচির শেষ দিন আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মহানগরে আসনভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা-১১ আসনের নতুন বাজারে (ভাটারা থানা সংলগ্ন) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন করে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুবলীগের কর্মী হিসেবে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে এখন মাঠে থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া, জনগণের পাশে থাকা। তারা যেন সাধারণ মানুষকে আর ভিকটিম বানাতে না পারে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে এদেশের খেটে খাওয়া, মেহনতি-শ্রমজীবী মানুষের পাশে থাকব। তিনি আরও বলেন, গতকাল ছিল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি-জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল তারা বিরোধী দলকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দিত, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে আহত করেছে, হত্যা করেছে। কিন্তু গতকাল দেখেছেন দলমত নির্বিশেষে সবাই সুশৃঙ্খলভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এটাই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন। তিনি আরও বলেন, এদেশে একমাত্র প্রকৃত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আমরা যুবলীগ সেই পথ অনুসরণ করি। আপনারা তাদের সকল মিথ্যাচার ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকবেন, স্বোচ্চার থাকবেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা আজকে কেন শান্তি সমাবেশ, মিছিল করছি। এই শান্তি সমাবেশ দেশ ও জাতির কল্যাণে। আপনারা জানেন বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করার মধ্য দিয়ে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেন, যে সকল বিদেশী বন্ধুরা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে দেখতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-এদেশের জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বিএনপি-জামাত সৃষ্টি করেছিল। এদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিএনপি-জামাত ঘটিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ জহিঙ্গমুক্ত, একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। একারণেই বিএনপি-জামাতের কাছে তা ভাল লাগছে না। তারা আবারও মাঠে নেমেছে জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘনের লক্ষ্যে। তারা জনগণের উপর আঘাত হানতে চায়। কিন্তু যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বেঁচে থাকতে বিএনপি-জামাতের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। যেখানেই বিএনপি-জামাত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে সেখানেই তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে যুবলীগ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, সহ-সম্পাদক আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, এ বি এম আরিফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।