প্রায় ১৯ হাজার ৫৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬ হাজার ২৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ১৩ হাজার ২০৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী জানান, আজকের সভায় মোট ১৪টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এ রমধ্যে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে এবং দুটি প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পদ্মা সেতুর ব্যয় ও মেয়াদকাল বাড়ানো হয়েছে। পদ্মা সেতুতে ব্যয় বেড়েছে ২ হাজার ৪১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সংশোধিত প্রস্তাবে মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ও অন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিল্যান্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্প।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুড ইন দ্য ভালনারেবল ল্যান্ডস্ক্যাপস ইন বাংলাদেশ (বিসিআরএল) প্রকল্প।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরিশাল জেলার সদর উপজেলায় চরকাউয়া, চাঁদমারী, জাগুয়া, লামচরি ও চরমোনাই এলাকা কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট।
সেফার সাইবারস্পেস ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ: এনহ্যান্সিং ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেস্টিগেশন ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ এবং ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্প।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ ও বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেল লাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প।
জি টু জি ভিত্তিতে দুটি ক্রুড ওয়েল মাদার ট্যাঙ্কার এবং দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ সংগ্রহ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়।