আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ীতে বিএনপির পদযাত্রায় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা,ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের আজাদী ময়দান ও প্রেসক্লাবের সামনের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে বিএনপির এ পদযাত্রা। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে প্রথমবারের মতো এ কর্মসূচি পালন করছে সমমনা ৩৬ দল।
এ পদযাত্রায় অংশ নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজবাড়ী বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। কথা ছিল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম গ্রুপ ও আসালাম-হারুন গ্রুপ এক হয়ে পদযাত্রায় অংশ নেবে। বিএনপির কার্যালয়ে প্রথম থেকেই আসলাম-হারুন গ্রুপের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে খৈয়ম গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খৈয়মের গ্রুপের আফছার আলী সরদার, যুবদল নেতা কাউন্সিলর সম্রাটসহ চার/পাঁচজন আহত হন।
এ খবর পেয়ে খৈয়ম গ্রুপের শত শত নেতাকর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ে আসতে থাকেন। এসময় পুনরায় খৈয়ম গ্রুপ ও আসলাম-হারুন গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে আসলাম-হারুণ গ্রুপের নেতাকর্মীরা পিছু হটেন। খৈয়ম গ্রুপ বিএনপি কার্যালয় দখলে নেন। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-উর রশিদ বলেন, খৈয়ম গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। এতে আমাদের সদর উপজেলার বিএনপি নেতা আবুল হোসেন গাজীসহ ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রাজবাড়ীর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, রাজবাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সরকারের একটি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বিএনপির একাংশ। আজ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা একদফা একদাবি বাস্তবায়নে পদযাত্রায় অংশ নিতে বিএনপি কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেন। তারা লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। এতে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার আলী সরদার, যুবদল নেতা সম্রাটসহ আমাদের ১০/১২ জন আহত হয়েছেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।