দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি ধাক্কায় জহুরুল ইসলাম (৪০) ও সুজন হোসেন (৪০) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের কলেজপাড়ার পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জহরুল জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার আফফার উদ্দিনের ছেলে। তিনি নীলফামারী জেলা পুলিশের ডিএসবিতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। আর সুজন হোসেন একই উপজেলার খয়েরবাড়ি গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে মোটরসাইকেলে করে বিরামপুর থেকে ফুলবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন জহরুল ও সুজন। পথে বিরামপুর কলেজপাড়া পেট্রল পাম্পের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে নীলফামারী থেকে আসা রাজশাহীগামী একটি বাসের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা দুইজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, ঘাতক বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক ও স্টাফরা পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে।
এসআই জহরুলের মৃত্যুতে শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম সবুর।
নীলফামারী পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাতদিনের ছুটিতে বাড়িতে যান জহুরুল। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীতে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এই কর্মকর্তা নিহত হন।