শরিক ১৪ দলকে নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথমত আমাদের সিদ্ধান্ত জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আর নির্বাচনে সমঝোতা করার এখনো অনেক সময় আছে। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে, প্রত্যাহারের এখনো অনেক সময় আছে। সুতরাং বরাবরের মতোই আমরা একটি সমঝোতায় উপনীত হব।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এবার আমার দৃষ্টিতে অনেক বেশি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। ২৭ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিলের এই হার অন্যবারের তুলনায় একটু বেশিই। আপিল করলে হয়ত অনেকে টিকে যাবে, সেটিই আমি আশা করছি।
অনেকেই বলছেন আওয়ামী লীগে শরিকদের গুরুত্ব কমে গেছে– এ বিষয় জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, সবসময়ই শরিকরা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই জোটগতভাবে এবারও নির্বাচন করছি। এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা ও সামর্থ্য আমাদের আছে। কিন্তু শরিকদের গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় জোটগতভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শরিকদের কতগুলো আসন দেওয়া হতে পারে– এমন প্রশ্নের জবা তিনি বলেন, সেটি সমঝোতায় উপনীত হলে বলা যাবে, তার আগে বলা যাবে না। যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সমঝোতা করা হবে।
জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতা হবে কি না– জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। এজন্য জাতীয় পার্টিকে অভিনন্দন জানাই। ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। গতবার আমাদের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক্যাল (কৌশলগত) জোট ছিল, এবারও সেটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।