নির্বাচন ভন্ডুল করতে বিএনপি-জামায়াত আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে অভিযোগ করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বোমা সন্ত্রাস মোকাবিলা করে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। জনগণ এবারও ব্যালটের মাধ্যমে ককটেল-বোমার জবাব দিতে প্রস্তুত।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভিশন ২০২১ টাওয়ার-১ এ (সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক) আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানের শুভমুক্তি ঘোষণা করে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ২০০৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে, ২০১৪ সালে উন্নয়ন ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে এবং ২০১৮ সালে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ঠিক রাখতে জনগণ রায় দিয়েছিল। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারও রায় দিতে উন্মুখ হয়ে আছে তারা। জনগণের এ রায়ের পক্ষে কাজ করছে ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটি একটি জাগরণ তৈরি করবে। যেভাবে ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’ গানটি জাগরণ তৈরি করেছিল।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, গান সাম্প্রদায়িকতা, গোয়ামী থেকে যেমন মুক্তি দেয় তেমনি একটি জাতির সামনের দিনের দিকনির্দেশনা দেয়। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে এই গানটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই গানের সুবাতাসে মানুষের উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিতে আসবে।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, এই গানটি দ্বাদশ নির্বাচনে ব্যাপক সাড়া জাগাবে। এই গানের কথা ও ভিডিওতে দেশের গত ১৫ বছরের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রাকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে, তাতে দেশের মানুষ ব্যাপক সাড়া দেবে। এই গান তৈরির পেছনে সব কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই গান মুক্তির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে এর শুভমুক্তি ঘোষণা করে প্রযোজক প্রতিষ্ঠান সেরা বাংলা। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হলো আরেকটি নতুন গান।
‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটির কথা লিখেছেন জুলফিকার রাসেল। কণ্ঠ দিয়েছেন, মিলন মাহমুদ, মিজান রাজিব, অবন্তী সিঁথী, মীর মাসুম, নাশা ও মিরাজ। সুর ও সংগীতায়োজনে ছিলেন মীর মাসুম। আর গানটি প্রযোজনা করেছেন সেরা বাংলার ফাউন্ডার তৌহিদ হোসেন।
গানটির প্রযোজক তৌহিদ হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য অনেক গান হয়েছে। আরও নতুন নতুন গান এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। ‘নৌকার পালে জয়ের বাতাস’ গানটি নির্বাচনী প্রচারণায় আরেকটি নতুন সংযোজন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণায় এ গানটি সারা দেশের আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করবে। নির্বাচনী প্রচারণাকে করে তুলবে আরও উৎসবমুখর। মূলত, নির্বাচনী প্রচারণায় উৎসবের আমেজ আনতেই আমাদের এ গানটি প্রকাশ করা।