প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে, তাদের ক্ষমা নেই। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারা হঠাৎ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। তবে বিদেশে বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোনো দিন সফল হতে পারবে না।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে পৌঁছে হজরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই কথা, আওয়ামী লীগ সরকারে এলে জনগণের কল্যাণ হয়। ২০০৯-২০১৮ সালে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল। আজকে সিলেটে এসেছি, এখানে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেকটি মানুষকে ঘর করে দিয়েছি। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছি। বাকিগুলো অচিরেই পূরণ করব ইনশাহআল্লাহ। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ যদি ভোট দেয়, আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে পুরো বাংলাদেশটাকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়তে পারব। কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ইতোমধ্যে আমরা উন্নত বিশ্বের মর্যাদা পেয়েছি। ক্ষমতায় আসার পরেই সেটি কার্যকর করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা নির্বাচন করবে না, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে, আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে। এটা জনগণের সম্পত্তি। রেললাইন অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে মানুষ হত্যা করে। এটা হচ্ছে জঙ্গিবাদী কাজ। এই কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট। বিএনপির একটাই কাজ মানুষ পুড়িয়ে মারা। ২০১৩ ও ২০১৪ তেও দেখেছি তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কী ধরনের আন্দোলন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই কাজ করি। এদিকে রেলে আগুন দিল, একাটা মা-সন্তান পুড়িয়ে মারলো। এর চেয়ে কষ্টের কী হতে পারে? কী করে তারা মানুষ হত্যা করে। পুলিশ, সাংবাদিক, বিচারক, জনগণের ওপর হামলা করে। এটা কী ধরনের খেলা। একজন লন্ডন বসে হুকুম দেয়। আর দেশে কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়। মানুষ মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।