যারা নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে, জনগণ তাদের বর্জন করা শুরু করেছে। আর আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে তাদের এখন আর কী করার আছে? এ নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতির পথ আরও সংকুচিত হবে।এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মান বজায় রেখেই এখানে নির্বাচন হবে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কোনো সহিংসতা আমরা চাই না। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এবং তাদের সহযোগী যদি কোনো সহিংসতায় জড়ান, তাহলে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে ,আমরা তা সমর্থন করব। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মী যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরও প্রতিযোগী ভাবতে হবে। যারা নির্বাচনবিরোধী সহিংসতা এবং বৈরী আচরণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করছে। যিনি দোষী প্রমাণিত হবেন, তাকেই শাস্তি পেতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন যেকোনো বিষয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের কোনো আপত্তি জানানোর নেই। আমরা জানি, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কিন্তু এদেশে আর ওয়ান ইলেভেন হবে না, সেটা সম্ভব নয়।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের বিষয়ে কাদের বলেন, ট্যাক্স না দিলে জেলে যেতে হবে। বিদ্যুৎ পানিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল না দিলে লাইন কাটা হবে। খাজনা না দিলে শাস্তি পেতে হবে। বিদেশে বসে এসব উদ্ভট আন্দোলনে ডাক না দিয়ে রাস্তায় আসুন, মোকাবিলা হবে। বাংলাদেশে খোমেনি স্টাইলে আন্দোলন হবে না, হয় রাজপথে নয় জেলে। আর তারেকের ডাকে সাড়া দিলে ব্যবসায়ীদের আমও যাবে, ছালাও যাবে। সাহস থাকলে রাজপথে আসুন তারেক রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে দলের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।