দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইশতেহার প্রণয়নে আমরা সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নিয়েছি। তাদের সুপারিশ নিয়ে ইশতেহারে তা গুরুত্ব দিয়েছি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের সবক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতির মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ স্থাপনে সেটিকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে কীভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায় সে লক্ষ্যে এই ইশতেহার।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতির সামনে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিল তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। এ সাফল্য দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে অঙ্গীকারের দলিল হিসেবে আমরা নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়ন করেছি।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, এবারের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ সমাজের দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবারের মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ১১ বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দ্রব্যমূল্য কমানো ও সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ব্যাংকসহ আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।