বোয়ালমারী উপজেলায় নির্বাচনি সহিংসতার পৃথক দুটি ঘটনায় ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার সন্ধ্যায় বোয়ালমারীর পৃথক স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বোয়ালমারী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেরগাতী গ্রামের আফসার মোল্যার ছেলে এরশাদ মোল্যা (৩২) ও উপজেলার শেখর ইউনিয়নের শেখর গ্রামের হারুন মোল্যার ছেলে ইমরান মোল্যা (৩০) এবং দিঘীরপাড় গ্রামের পান্না কাজীর ছেলে তামিম কাজী (১৯)।
জানা যায়, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এরশাদ মোল্যা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের একটি হোটেলে নাস্তা করতে গেলে অতর্কিতে পৌর মেয়রের গাড়িচালক ও নৌকার সমর্থক আরিফ হোটেলটিতে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে কিল-ঘুসি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে এরশাদ আহত হন। তার মুখমণ্ডলে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন তিনি।
এরশাদ বলেন, নৌকার সমর্থকরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে কাজ করতে নিষেধ করেন। আমি তাদের কথা না শোনায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালায়।’
তিনি এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সুষ্ঠু বিচার চান।
অপরদিকে, একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের শেখর গ্রামের কাশেম শরিফের বাড়িতে ঈগল প্রতীকের দুই সমর্থক দিঘীরপাড় গ্রামের তামিম কাজী ও শেখর গ্রামের ইমরান মোল্যা ভোট চাইতে গেলে নৌকা প্রতীকের সমর্থক তারা মোল্যার ছেলে জিয়া মোল্যা (৪৫), বাশার মোল্যার ছেলে জাহিদ মোল্যা (৩৫), মশিউর (৩৪), বাবলুসহ (৩০) অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন মিলে তাদের দুজনের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’