রংপুর-৩ আসনে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে লাঙ্গলের প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আমাদের ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি না-এটা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমাদের কোরবানি দিলে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়ে যাবে।নির্বাচনে যেহেতু এসে গেছি, বর্জন করার সুযোগ নাই। নির্বাচনের পরে ফলাফল দেখে পরবর্তী কর্মসূচি নিতে হবে। ’
রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রংপুর নগরীর তোজামেল হোসেন মেমোরিয়াল শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভোট কেমন হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, সব জায়গায় ভোট ভালো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ ভালো দেখছি না। দুই-এক জায়গায় যদি ভালো না হয়, সেটিও খারাপ লক্ষণ। শীত, ভোট বর্জনের ক্যাম্পেইন, ভোটারদের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে রংপুরের মানুষ লাঙ্গলের রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, রংপুরে ভোটের উপস্থিতি ভালো হবে। এখানকার মানুষ ন্যাশনাল পলিটিকস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। তারা জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার রাজনীতি করে, ভোট দিতে চায়। কিন্তু রংপুর সারা দেশের পরিস্থিতি যাচাইয়ের উদাহরণ নয়। সারা দেশে ভোটার উপস্থিত কম হবে বলে মনে করছি।
রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন এবং পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।
রংপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই আসনে জি এম কাদেরের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী। এখানে নৌকার প্রার্থী না থাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা ভোটারদের কাছে লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চাইছেন।